বাংলাদেশে যখন জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তদানের কথা আসে, তখন সবার আগে যে নামটি উচ্চারিত হয় তা হলো — বাঁধন। ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাঁধন কাজ করছে একটি মূল লক্ষ্য নিয়ে:
“এক ফোঁটা রক্ত, এক নতুন জীবন।”
বাঁধনের কার্যক্রম
- রক্তদান ও রক্তসংগ্রহ
বাঁধন ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষাধিক ব্যাগ বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করেছে এবং ২৪ লক্ষাধিক মানুষকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ সেবা দিয়েছে। - বিস্তৃত নেটওয়ার্ক
বর্তমানে বাঁধনের কার্যক্রম চলছে ৫৫টি জেলায়, ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ১৬টি জোনে, ১৪৮টি ইউনিটে এবং ১৪টি পরিবারে। - সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা
শুধু রক্তদান নয়, বাঁধন স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরিচ্ছন্নতা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, টিকাদান কার্যক্রম এবং তরুণদের স্বাস্থ্য ও স্বেচ্ছাসেবায় প্রশিক্ষণের উদ্যোগও পরিচালনা করে। - অরাজনৈতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন
বাঁধন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অ-সাম্প্রদায়িক, অ-আঞ্চলিক ও অ-জাতিগত। এর মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছাসেবকতার চেতনা।
কেন গুরুত্বপূর্ণ
দুর্ঘটনা, অপারেশন, প্রসূতি জটিলতা কিংবা জরুরি রোগীর জীবন বাঁচাতে দ্রুত রক্ত সরবরাহ অপরিহার্য। বাঁধনের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সেই জরুরি চাহিদা পূরণে কাজ করছে এবং তরুণ প্রজন্মকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করছে।
বাঁধনের স্বপ্ন
- আরো বেশি স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলা
- মানসম্মত রক্ত পরীক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
- প্রত্যন্ত অঞ্চলে কার্যক্রম সম্প্রসারণ
- রক্তদানের ভয় ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করা

